কক্সবাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহতের ঘটনায় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শহরের বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শহর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, গ্রেপ্তার নুরুল আবছার ওই হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি। তিনি শহরের বিডিআর ক্যাম্পের পল্ল্যাইনাকাটা এলাকায় থাকেন।
আনোয়ার আরও জানান, নুরুল আবছার আশু আলী বাহিনীর অন্যতম সদস্য। আশু আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্রসহ এক ডজন মামলা রয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হবে।
ওই হত্যা মামলা ৭ জুন রাতে মঈন উদ্দিন নামের এজাহারভুক্ত আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
- আরও পড়ুন: কক্সবাজারে জোড়া খুনে গ্রেপ্তার ১
এর আগে শহরের রুমালিয়াছড়ার সিকদার বাজার এলাকায় গত ৩১ মে বিকেলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিতে মো. রায়হান ও মো. সাহেদ নামের দুই ব্যক্তি নিহত হন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মামুনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রায়হান গ্রুপ ও আশু আলী গ্রুপের বিরোধ চলছিল।
এর মধ্যে রায়হান গ্রুপের হাসান নামের এক যুবককে অপহরণের অভিযোগ ওঠে আশু আলীর গ্রুপের বিরুদ্ধে। তাকে উদ্ধারে রায়হান গ্রুপের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়।
এ সময় সাহেদ গুলিবিদ্ধ হন ও রায়হানকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ঘটনাস্থলে সাহেদ ও হাসপাতালে রায়হানের মৃত্যু হয়। সাহেদ ছিলেন রায়হানের প্রধান সহযোগী।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনিরুল গিয়াস বলেন, নিহত দুইজনের মধ্যে রায়হান চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে দুইটি হত্যা ও একটি ছিনতাইয়ের মামলা আছে। আর সাহেদ সম্প্রতি নারী নির্যাতন মামলায় জেল থেকে বেরিয়েছেন।
এই ঘটনার এক দিন পর বুধবার সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন সাহেদের বাবা ফজলুল হক।